বইঃআদর্শ হিন্দু হোটেল
লেখকঃবিভুতিভূষন বন্দোপাধ্যায়
ধরনঃসামাজিক উপন্যাস
পথের পাচাঁলি উপন্যাসের মাধ্যমে বিভূতিভূষণের সাহিত্য জগতে প্রবেশ করা।আদর্শ হিন্দু হোটেল উপন্যাসের বইটাকে মোটিভেশনাল বইও বলা যায়!"জীবনে বেঁচে থাকতে হলে উদ্যম ও স্বপ্ন থাকা প্রয়োজন।স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলে জীবন থমকে দাড়ায়"।এই কথাটার উপর যেনই পুরো উপন্যাসের কাহিনী।
হাজারি ঠাকুর!যার বয়স,চল্লিশ-পয়তাল্লিশ বছর। বেচু চক্কোত্তির হোটেলে রান্নার কাজ করে।তার একটা স্বপ্ন ও আছে। নিজে একটা হোটেল দিবে। যার নাম হবে -আদর্শ হিন্দু হোটেল। রান্নার হাত ভালো বলে চারিদিকে তার রান্নার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।দুর-দুরান্ত থেকে খরিদ্দার আসে বেচু চক্কোত্তির হোটেলে। কিন্তু তার কাজের যথাযথ মুল্যায়ন দিতে রাজি নন বেচু চকোত্তি ও পদ্মঝি। পদ্মঝি যেন উপন্যাসের খলনায়ক।সবসময় হাজরি ঠাকুরকে অপমান-অপদস্ত করে।হঠাৎ করে পদ্মঝি হাজারি ঠাকুরের উপর চুরির মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে দেয়।।
কিন্তু জীবনযুদ্ধে থেমে থাকে না হাজারি ঠাকুর। অতসী এবং কুসুমের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজেই হোটেল দেন।নিজের উদ্যমে হোটেলের ঠাকুর থেকে রানারঘাটের সবচেয়ে ভালো হোটেলে মালিক বনে যান হাজারি!
শুরুতেই বলছিলাম বইটা আমার কাছে মোটিভেশনাল বইয়ের মতো লেগেছে।দারুন প্লটে লেখক চরিত্রগুলোকে ফুটিয়ে তুলেছে।এক বসাতে পড়ার মতো একটা বই।