আমি প্রাক্তনের মত বেকার সিনেমা জীবনে দেখিনি। মাথা যন্ত্রণা ধরে গেছিল just। এসব যাত্রা পালা সে সব মানুষের ভালো লাগবে যারা হইহই করে পুরুষ তন্ত্রের উদযাপন করে, সে নারী হোক বা পুরুষ। গোটা সিনেমায় তন্ন তন্ন করে খুঁজেও আমি ঋতুপর্ণার কোনো দোষ পাইনি। আর যে সব পুরুষরা মনে করে well established, মেরুদন্ড নিয়ে বাঁচা মেয়ের সাথে ঘর করা যায় না, আজকাল তাদের এমনিও ডিভোর্স হয়েই যায়। কারণ ওই দ্বিতীয় স্ত্রী টির মত গ্যাদগ্যাদে মানসিকতা নিয়ে বাঁচা মেয়ের পরিমাণ কিন্তু কমে আসছে।
**ভাই আমি নিজে ঋতুপর্ণার মতোই মেয়ে।
সব পুরুষ কিন্তু প্রসেনজিতের চরিত্রটির মত ফাঁপা পৌরুষের অহংকার নিয়ে বাঁচে না। এরা আসলেই খুব দূর্বল চরিত্রের পুরুষ হয় বলেই, খুব দৃঢ় চরিত্রের নারীদের এরা সহ্য করতে পারে না।
ওই যে কথায় আছে না --- only a strong man can handle a strong woman. Others will say she has attitude problem.
তো মোদ্দা কথা ওটাই... তুমি শক্তিশালী মেয়ে হলে শক্তিশালী পুরুষ খোঁজো। তবেই সে তোমার শক্তি দেখে ভয় পাবে না। শিব ঠাকুর নিজেই বিশাল শক্তিশালী ছিলেন বলেই দুর্গার হাতে ত্রিশূল তুলে দিয়ে বলেছিলেন ---- যাও মহিষাসুর ব্যাটাকে মেরে আসো। দূর্বল পুরুষ হলে বলত ---- "মেয়ে মানুষেৱ হাতে ত্ৰিশূল!"
বাগিয়ে অসুর মারতে যায় তার সাথে কি সংসার করা যায়?" কালী ঠাকুর রেগে গিয়ে প্রলয় শুরু করলে শিব তাকে থামাতে মাটিতে শুয়ে পড়েছিলেন। বলেননি কখনো " যে মেয়ে ন্যাংটো হয়ে রাত বিরেতে খাঁড়া হাতে অসুর কুপিয়ে বেড়ায় সেই মেয়ের দ্বারা সংসার হয়?" নিজে শক্তিশালী ছিলেন বলেই বউয়ের শক্তিকে মর্যাদা ও উৎসাহ দুইই দিয়েছিলেন ।।
রেটিং =0000000