অনেক প্রতীক্ষার পর অবশেষে সাক্ষী হলাম এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের..
এই সিনেমার খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করার মতো যোগ্যতা বা জ্ঞান কোনোটাই আমার নেই তবে আমি মন্ত্রমুগ্ধ.. প্রচুর এক্সপেক্টশন নিয়ে গেছিলাম তবে যেটা পেলাম সেটা হলো একরাশ তৃপ্তি..
অনিক দত্তর ফ্যান আমি বরাবর ই কিন্তু এই ছবিটি তার সব মাত্রা ছাড়িয়ে দিয়েছে.. এত নিখুঁত ডাইরেকশন, ডিটেইলিং, সিনেমাটোগ্রাফি, চিত্রনাট্য অনেক বছর পর বাংলা ছবিতে দেখলাম.. কিছু কিছু দৃশ্যে গায়ে কাঁটা দিচ্ছিলো.. নদীর জলের দৃশ্য টা দেখে হাততালি তে ফেটে পরছিল গোটা অডিটোরিয়াম..
প্রতিটি চরিত্রের অভিনয় অসম্ভব সুন্দর...কাকে ছেঁড়ে কার কথা বলবো জানিনা ...তবে মিঙ্কু এবং ননীবালার অভিনয় বিশেষ প্রশংসার যোগ্য..
জীতুকমল কে যখন পর্দায় দেখছি তখন মনে হচ্ছে বোধয় সত্যি অপরাজিত কেই দেখছি... ওনার লুক, ডায়ালগ ডেলিভারি, ভয়েস মডুলেশন অসাধারণ বললেও কম বলা হবে.. অসম্ভব ন্যাচারাল এক্টিং... ইন্ডাস্ট্রি একজন ভালো অভিনেতাকে পুরোপুরি ভাবে পেলো..
সত্যজিৎ রায় আমাদের ভাবনায়, আমাদের মননে, আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায় সারা জীবন বিরাজ করবেন.. উনি এক এবং অভিন্ন...
সত্যজিৎ রায় কে আরও গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে গেলে দেখতেই হবে এই সিনেমা..
অনিক দত্ত কে অশেষ ধন্যবাদ আমাদের এক মাইলস্টোন এর সাক্ষী রাখার জন্যে..
শেষে একটাই কথা বলবো হলএ গিয়ে ছবিটা দেখে আসুন...এক অন্যরকম এর তৃপ্তি পাবেন..
ছবিটির শেষে আজ প্রেক্ষাগৃহে দর্শক রা সবাই দাঁড়িয়ে হাততালি দিলেন..যেন এক আলাদা ভালোলাগা কাজ করছিল সবার.. এতেই ছবির জয়.........!!!!
Congratulations to the entire team & all the very best for the long run...