আসা যাওয়ার মাঝে একটি স্বাবলম্বী চলচ্চিত্র, যার নিজস্ব পরিসর তৈরী করার ক্ষমতা আছে | ছবির অভিনয়, এবং অভিনেতা/নেত্রী বাছাই সত্যিই অনবদ্য | ক্যামেরার যা কাজ এই ছবিতে প্রকাশ পায় তা ইদানিং আর দেখা যায় না; প্রসঙ্গক্রমে বলা যেতে পারে একটি দৃশ্যের কথা যেখানে দিনান্তবেলায় পড়ন্ত সূর্যের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে রয়েছে ক্যামেরাটি | এমন সুন্দর দৃশ্য যে সিনেমার একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তা বোধহয় পরিচালকের সৃষ্টিশীলতা ও সাহসের জোড়েই সম্ভব | সিনেমায় বিসমিল্লা খানের "কাজরী" রাগের উপস্থাপনার ব্যাবহার আমার মন কেড়ে নিয়েছে | তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং হৃদয়ের সবচেয়ে কাছের দৃশ্য বোধহয় ওই স্বামী-স্ত্রীর মিলনক্ষেত্রটি, যেখানে দর্শক নিজেকে হারিয়ে যেতে দেখবেন | মোট কথা হল, এরকম সিনেমা (পরিচালকের পরবর্তী ছবি "জোনাকী" , যা দেখে আমি আরও প্রভাবিত হয়েছি) বহুদিন বাংলা সিনেমার দর্শক পাননি, যেখানে কস্টিউম, সাউন্ড, লাইট, ক্যামেরা, ডায়লগ (সিনেমাটি নির্বাক হওয়া সত্ত্বেও তার নিজস্ব ভাষা আছে), প্রেক্ষাপট ও সর্বোপরি পরিচালনার অত্যন্ত লালনে গড়ে তোলা মেলবন্ধন আছে | ঠিক যেন সত্যজিত কি তার্কোভস্কি কি বর্গম্যানের সেরা সেরা ছবিগুলির সাথে এই সিনেমার তুলনা করা যায় | ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি ছবির পরিচালক শ্রী আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্ত , জোনাকী ভট্টাচার্য ও অন্যান্য কলাকুশলীদের প্রতি | সবাইকে অনুরোধ করব সিনেমাটা অবশ্যই দেখার জন্য |❤️