ফেলুদা হিসাবে যে উত্তেজনা থাকে এখানে সিনেমাটা দেখার পর আর সেটা থাকেনা। নতুন ফেলুদা মন্দ নয় তবে শ্লথ। মগজাস্ত্র থাকলেও, তার ব্যবহার হলেও ঝলকানিটা কম পেলাম। ইন্দ্রনীল সহ অনেকের বাংলা উচ্চারণে টান! গল্পটা খুব টানটান, সিনেমায় সেই টানটা নেই। অপরাধীর মুখোশ খোলার সময় ফেলু এত ম্রিয়মাণ কেন! বড্ড বেশী ভদ্র। তাও বলব ইন্দ্রনীল মন্দ নয়। কিন্তু অনেক আরও ঘষতে হবে। আশাকরি পরের বার আরও প্রখর হবে। তোপসে নিয়ে পরিচালক ভাবুন। ছেলেটি আকাশ আটের সিরিয়ালে ভাল করেছে এখানে বড়ই ম্যাদামারা। ভাল তোপসে চাই। জটায়ু এককথায় জিরো। পুরো একটা জলের জালা। প্রতিবাদ করছি এবং অবাক হচ্ছি সন্দীপ রায় একে বাছলেন কিভাবে! উনি অভিনেতা ভালো এখানে ভীষণ বাজে। উনি অনেক সাক্ষাৎকারে বলেছেন লোকে ওনার জটায়ু নিয়ে যাই বলুক ওঁর কিছু যায় আসেনা, হতে পারে, কিন্তু দর্শকদের মত মানতে হবে। জঘন্য জটায়ু। আর কেবল বিভিন্ন সিনে সন্তোষ দত্তকে মিমিক্রি করা বন্ধ হোক। জটায়ুর মধ্যে ইম্প্রোভাইজেশন না থাকলে চরিত্র করা উচিত নয়। খুব বাজে জটায়ু। সব ফেলুদায় শুভাশিষ থাকে আর একরকম বিরক্তিকর ভাঁড়ামো অভিনয়। সংলাপ বলে না মুখ ভ্যাংচায় বোঝা দায়। সন্দীপ বাবু ফেলুদা আপনার যেমন পারিবারিক সম্পত্তি তেমনি বাঙালির এভারগ্রিন আইকন। আমাদেরও ঘরের লোক। দয়া করে তাড়াহুড়ো করবেননা। ইন্দ্রনীল বাবুকে রাখুন, বাকি বিষয় নিয়ে প্লিজ ভাবুন। থ্রিলটা বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে ফেরানো দরকার। বেশ হতাশ লাগল।