আজ 'অপরাজিত'র ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখে এলাম। এককথায় অনবদ্য!
ছোট করে বলি, কোনো পরিকল্পনাই ছিলনা আমার। নিদ্রাচ্ছন্ন আমি, হঠাৎ একদল সারমেয়র ঘনঘন ডাক দিলো ঘুম ভাঙিয়ে। ফোনটা খুলে তখনও দেখছি কিছু সিট বাকি আছে INOX এ। রয়েল এ একটা টিকিট কেটেই ফেললাম। তারপর রওনা, একটা কথাই মনে হয়েছিল রায় মহাশয় সহায়।
৪:৩৫ এর শো দেখতে ঢোকার পরের গল্পে আসা যাক, প্রথম থেকে শেষ অবধি মনে হচ্ছিল সেই সময় এ পৌঁছে গেছি, যখন সত্যজিত রায়ের 'পথের পদাবলি' রিলিজ হয়েছে। কখনও রোমাঞ্চিত হচ্ছি, কখনও চিকিয়ে উঠছে চোখের কোণ। একবারের জন্যও মনে হয়নি যে পর্দার ওপারে মুখ্য ও কেন্দ্রীয় চরিত্রটি কোনোরকম অভিনয় করছেন, বরং মনে হয়েছে স্বয়ং সত্যজিত রায় যেন নিজেকে নিজে ফুটিয়ে তুলছেন। প্রত্যেকটি চরিত্র অনবদ্যভাবে ফুটে উঠেছে। সবাই সবার যতটুকু ক্ষমতা, সবটুকু দিয়ে অভিনয় করেছেন আর সেরা করে তুলেছেন মহামানবের 'পথের পদাবলি' সিনেমার নেপথ্যে থাকা কাহিনিকে।
সিনেমাটা থেকে অনেক তথ্য উঠে এসেছে। অনুভূতির তো ভাষা হয় না, একবার গিয়ে দেখে আসুন। সবশেষে স্যালুট জানাই পরিচালক অনীক দত্ত মহাশয় কে। অশেষ ধন্যবাদ পুরো 'অপরাজিত' টিম কে।
একটা মানুষের জীবনের স্ট্রাগল, ডেডিকেশন, তাঁর নেপথ্যে থাকা মানুষগুলো কে চিনতে, বুঝতে গেলে বইয়ের পাশাপাশি সিনেমাটিও দেখতে হবে। অনেক নাম করবে 'অপরাজিত' আমার বলার অপেক্ষা রাখে না। সত্যজিত প্রেমী আর প্রকৃত বাঙালির সঙ্গী হয়ে থেকে যাবে...। দেশ, বিদেশ ঘুরবে।
সিনেমার রিভিউ প্রথম, অভিজ্ঞতাও প্রথম। লিখতে খুব কমই পারলাম, যতটুকু যা পারলাম তাই থাক যাঁরা দেখতে যাবেন ঠিক করেছেন তাদের জন্য।